১৯ আরোহী নিয়ে নেপালে সৌর্য এয়ারলাইন্সের একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয়েছে। কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পোখরার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল প্লেনটি। উড্ডয়নের কয়েক মুহূর্ত পরেই তা আছড়ে পড়ে। প্লেনে আগুন ধরে যায়। সেই ঘটনার বর্ণনা দিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। 

কাঠমান্ডুর ওই বিমানবন্দরে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেঁচে গেছেন কেবল পাইলট। তিনি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। দুর্ঘটনার সেই মুহূর্তের ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, রানওয়ে ছাড়তেই প্লেনটি বাঁক নিয়ে আছড়ে পড়ে পাহাড়ি এলাকায়। তারপরই একটি বিস্ফোরণ হয়। কয়েক টুকরো হয়ে তাতে আগুন ধরে যায়।

আদেশ লামা নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী ভারতীয় একটি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, আমি আমার গ্যারেজে কাজ করছিলাম। হঠাৎ একটা শব্দ শুনতে পাই। আমরা ভেবেছিলাম, গাড়ির চাকা ফেটে গেছে। গিয়ে দেখলাম প্লেন বিধ্বস্ত হয়েছে। এত দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। চোখের সামনে আমরা সেই দৃশ্য দেখেছি।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী কৃষ্ণ বাহাদুর থাপা বলেন, আমি প্রচণ্ড একটা শব্দ শুনতে পেয়েছিলাম। আমরা ওখানে তিন থেকে চারজন ছিলাম। প্রথমে মনে হয়েছিল, কোনো গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সামনে গিয়ে দেখি প্লেন দুর্ঘটনা। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্লেনে আগুন ধরে যায়। পরে আরও একটি বিস্ফোরণ ঘটেছিল।

প্লেন দুর্ঘটনায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১৭ জন নেপালি। অপর একজন ইয়েমেনের নাগরিক। তিনি এয়ারলাইন্সটিতে প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করতেন।

জেডএস