বড় সমস্যায় পড়েছিলেন প্যারিস অলিম্পিকের আয়োজকেরা। বোনাসের দাবিতে ধর্মঘট ডেকেছিলেন প্যারিস বিমানবন্দরের কর্মীরা। আগামী ২৬ জুলাই থেকে শুরু হতে যাওয়া অলিম্পিক আসর ঘিরে ধর্মঘট চললে যাত্রী পরিষেবায় সমস্যা হতো। তবে সেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ফলে যাত্রী পরিষেবায় সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।

প্যারিস বিমানবন্দরের কর্মীদের সংগঠনের এক কর্মকর্তা জানান, তিনটি সংগঠন ধর্মঘট ডেকেছিল। আমাদের সঙ্গে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কথা বলেছে। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। তাই আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছি। অলিম্পিক চলাকালীন বিমানবন্দরে যাত্রী বাড়বে। তাই কাজের চাপ বাড়বে। সেই কারণে অতিরিক্ত বোনাস ও আরও কর্মী নিয়োগ করার দাবি জানিয়েছিলাম আমরা। সেই দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে।

প্যারিসে দু’টি বিমানবন্দর রয়েছে। চার্লস ডে গাওলি এবং ওর্লি বিমানবন্দর। অলিম্পিক উপলক্ষ্যে ৪৫৭ কোটি টাকা খরচ করে বিমানবন্দর দু’টির সংস্কার করা হয়েছে। সেখানে যাত্রী পরিষেবার মান আরও বাড়ানো হয়েছে। চার্লস ডে গাওলি বিমানবন্দরে গড়ে প্রতিদিন ৩ লাখ যাত্রী চলাচল করেন। ওর্লি বিমানবন্দরে গড়ে প্রতিদিন চলাচল করেন ২ লাখ যাত্রী। অলিম্পিকের সময়ে সেই সংখ্যা অনেক বাড়বে। সে কারণেই যাত্রী পরিষেবা উন্নত করা হয়েছে।

তবে এখনও চিন্তায় রয়েছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ২৬ জুলাই থেকে প্রতিযোগিতা শুরু। তার আগে ধাপে ধাপে বিভিন্ন দেশের ক্রীড়াবিদেরা সেখানে যাবেন। কিন্তু ১১ আগস্ট প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার পরে প্রায় সব দেশের ক্রীড়াবিদেরা একসঙ্গে ফিরবেন। দর্শকেরাও নিজ নিজ দেশে ফিরবেন। সেই ভিড় কীভাবে সামলানো যাবে তার পরিকল্পনা করছেন তারা।

জেডএস