কারিগরি ত্রুটির জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট রানওয়ে থেকে আবারও হ্যাঙ্গারে ফিরে আসে। ত্রুটি সারিয়ে ফের রওনা হয় গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। তবে এতে ভোগান্তির শিকার হয় বিমানের যাত্রীরা।

ঘটনাটি গতকাল বুধবার বিকেলের। বিমানের বিজি-১২৫ ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কাতারের দোহা যাওয়ার কথা ছিল।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা গেছে, ফ্লাইটটি উড্ডয়নের জন্য রানওয়েতে উঠলে পাইলট দেখতে পান বিমানের মাঝখানের দুটি দরজা আনলকড (লক করা হয়নি) দেখাচ্ছে। তাৎক্ষণিক উড্ডয়নের সিদ্ধান্ত বদলে যাত্রীসহ ফেরত আসে প্লেনটি।

প্লেনটি থামানোর পর বিমানের প্রকৌশলীরা প্লেনের দরজার ত্রুটি সারানোর চেষ্টা করেন।

বিমানের ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) আল মাসুদ খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, পাইলট উড্ডয়নের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় দরজা আনলকড থাকার বিষয়টি দেখেন। বিমান নিয়ে হ্যাঙ্গারে ফেরার পর ইঞ্জিনিয়াররা এটি সারিয়ে আবারও গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

এদিকে ইঞ্জিনিয়াররা যখন ফ্লাইটের ত্রুটি সারানো কাজ করছিলেন তখন ফ্লাইটের ভেতরেই ছিল যাত্রীরা। ফ্লাইটের এসি ছিল বন্ধ। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। গরমে অনেকে অস্বস্তিবোধ করব বিমানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

ওই ফ্লাইটের অন্যতম যাত্রী ছিলেন গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ফ্লাইটের এসি বন্ধ করে ত্রুটি সারানোর কাজ করায় অনেকেই গরমে অস্থির হয়ে যান। ফ্লাইটের সবাই খুব বিরক্ত ছিলেন। তারা হাঁসফাঁস করছিলেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বেশ কয়েকবার বিমানে ভ্রমণ করেছি, হজেও গিয়েছি। তবে সাধারণ যাত্রী হিসেবে বিমানে অভিজ্ঞতাটা ভালো ছিল না। প্রায়ই বিমান নিয়ে অনেকে খারাপ অভিজ্ঞতার কথা বলে, এবার আমি নিজেই ভুক্তভোগী।

এর আগে ২৮ মে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ড্যাশ-৮ মডেলের ফ্লাইটে ত্রুটি দেখা দেয়। পরে প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর ত্রুটি সারিয়ে বিমানটি ঢাকায় ফেরে।

বিমানটি রানওয়ের দক্ষিণ দিক থেকে উত্তরে যাওয়ার সময় নোস হুইলে (সামনের চাকা) ত্রুটি দেখা দেয়। এতে বিমানটি রানওয়েতে থেমে যায়। পরে যাত্রীরা নামার পর বিমানের টেকনিশিয়ানের প্রচেষ্টায় রানওয়েতে দাঁড়ানো বিমানটি মেরামতের চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় রানওয়ে থেকে সরিয়ে পার্কিং ইয়ার্ডে নেওয়া হয়েছিল। এতে রানওয়ে বন্ধ থাকার প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর বিমান ওঠানামা স্বাভাবিক হয়েছিল।

এআর/এমএ