ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নিজেদের বহরে থাকা পাঁচটি এটিআর ৭২-৫০০ মডেলের এয়ারক্রাফট বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি এয়ারলাইন্স নভোএয়ার। অত্যাধুনিক এটিআরের পাশাপাশি বোয়িং অথবা এয়ারবাস কোম্পানি থেকে এয়ারক্রাফট কিনে দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট সম্প্রসারণের পরিকল্পনা সাজিয়েছে এয়ারলাইন্সটি।

সম্প্রতি নভোএয়ারের পক্ষে এয়ারক্রাফটগুলো বিক্রির জন্য একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এয়ারস্ট্রিম ইন্টারন্যাশনাল। মূলত এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এয়ারক্রাফট কেনা-বেচা ও লিজের কাজ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। এর আগে তারাই নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইন্সের কাছে নভোএয়ারের দুইটি এয়ারক্রাফট বিক্রিতে সহযোগিতা করেছিল।

সাধারণত একটি এয়ারক্রাফটের বিক্রি সম্পন্ন হতে দুই থেকে তিন বছর লেগে যায়। নভোএয়ার জানিয়েছে, তারা যেসব এয়ারক্রাফট বিক্রি করতে চেয়েছে, সেগুলো ১৯৯৯ থেকে ২০০২ সালের মধ্যে তৈরি। বহরে থাকা এয়ারলাইন্সগুলো অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় বহরে থাকা পাঁচটি এয়ারক্রাফটের সবগুলো বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। পাশাপাশি এটিআর ৭২-৬০০ মডেলের এয়ারক্রাফট আনার চেষ্টা চলছে। 

এ বিষয়ে নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মফিজুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা নতুন এয়ারক্রাফট দিয়ে বহর সাজানোর পরিকল্পনা করছি। অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য এটিআর ৭২-৬০০ এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বোয়িং বা এয়ারবাসের এয়ারক্রাফট সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, এয়ারক্রাফট বিক্রির প্রক্রিয়া দীর্ঘ। ক্রেতা পাওয়াসহ বিক্রির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে প্রায় দু্ই থেকে তিন বছর লেগে যেতে পারে। এর আগেই বহরে নতুন এয়ারক্রাফট যুক্ত হবে। বর্তমানে বহরে থাকা এয়ারক্রাফটগুলো পুরোনো হয়ে যাওয়ায় রক্ষণাবেক্ষণ খরচ অনেক বেড়ে গেছে। তাই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

নভোএয়ারের একটি সূত্র জানায়, পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মাঝারি আকারের এয়ারক্রাফট কিনে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর এবং সিঙ্গাপুরসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায় তারা।

বর্তমানে বহরে থাকা এয়ারক্রাফটগুলো দিয়ে ঢাকা থেকে কক্সবাজার, সৈয়দপুর, চট্টগ্রাম, যশোর, সিলেট ও রাজশাহীতে ফ্লাইট পরিচালনা করছে নভোএয়ার। এছাড়া, একমাত্র আন্তর্জাতিক রুট হিসেবে ভারতের কলকাতায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে তারা। মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে ফ্লাইট পরিচালনা করলেও ২০১৭ সালে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১২ বছরের ফ্লাইট পরিচালনার ইতিহাসে ৬০ লাখের বেশি যাত্রী বহন করেছে নভোএয়ার।

এআর/কেএ