ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে বৈরী আবহাওয়ায় চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ১৭ ঘণ্টা বিমান ওঠা-নামা বন্ধ ছিল। এ সময়ে মোট ১৬টি ফ্লাইট বাতিল হয়। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক ৭টি এবং অভ্যন্তরীণ ৯টি ফ্লাইট ছিল। তবে আবহাওয়া পরিস্থিতি উন্নত হওয়ায় সোমবার (২৭ মে) ভোর ৫টা থেকে এ বিমানবন্দর দিয়ে ফ্লাইট ওঠানামা শুরু হয়েছে।

বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইব্রাহীম খলিল ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল (রোববার) ১২টা থেকে ফ্লাইট বন্ধ হয়। প্রাথমিকভাবে এদিন রাত ৮টা পর্যন্ত রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে এটি সোমবার ভোর ৫টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর থেকে বিমানবন্দর দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হয়।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে চট্টগ্রামে। এতে নগরের আগ্রাবাদ, হালিশহর, ওয়াসা মোড়, জিইসি, ২ নম্বর গেট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, বাকলিয়া ও কোতোয়ালি থানার বিভিন্ন এলাকা হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চট্টগ্রামে সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত মোট ৩ ঘণ্টায় ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। মাঝারি থেকে ভারী, অতিভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেতের আওতায় থাকবে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এমআর/এসএম