২০২৩ সালের পয়লা সেপ্টেম্বর দীর্ঘ ১৭ বছর পর ঢাকা থেকে জাপানের নারিতা রুটের ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ফ্লাইট চালুর শুরুর দিকে ধারণক্ষমতার মাত্র ৪০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে এই রুটে চলাচল করতো রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এই এয়ারলাইন্সটি। তবে, এই হার বর্তমানে ৮০ শতাংশের বেশি।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা গেছে, নারিতা রুটে বর্তমানে ৮০ শতাংশের ওপর কেবিন ফ্যাক্টর (মোট ধারণক্ষমতার ৮০ শতাংশ যাত্রী) নিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে এই ফ্লাইটে চলাচলকারী যাত্রীর সংখ্যা ছিল ধারণক্ষমতার ৭৭ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে ৮১ শতাংশ, মার্চে ৮৩ শতাংশ ও এপ্রিল মাসে ৮৬ শতাংশ।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. আল মাসুদ খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে যাত্রী পরিবহনের যে হাব করার পরিকল্পনা করেছেন, এক্ষত্রে নারিতা রুটে ফ্লাইট চলাচল অন্যতম এক্স-ফ্যাক্টর হিসাবে কাজ করছে। সাধারণত বিশ্বের যেকোনো এয়ারলাইন্সে ৭০ শতাংশ কেবিন ফ্যাক্টরকে স্ট্যান্ডার্ড (আদর্শ) হিসেবে ধরা হয়। তবে, বিমানের ফ্লাইটে এর চেয়েও অনেক বেশি যাত্রী নারিতা যাচ্ছে। বর্তমানে এই রুটকে বিমানের অন্যতম সম্ভাবনাময়ী রুট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিমান নারিতা ফ্লাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও জাপানের ব্যবসায়ীরা কার্গো পরিবহনের ফলে অল্প সময়ে মালামাল পরিবহনের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। এছাড়া, বাংলাদেশ বিমান নেপালের অনেক যাত্রী কাঠমান্ডু থেকে ঢাকা হয়ে নারিতা এবং নারিতা থেকে ঢাকা হয়ে কাঠমান্ডু রুটে অনেক যাত্রী পরিবহন করছে। নেপালিদের কাছেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই ফ্লাইট। ভবিষ্যতে এই রুটে ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। 

বিমানের এই ফ্লাইটে সাড়ে ছয় ঘণ্টায় জাপানে যাওয়া যাচ্ছে। ফ্লাইটটি ২০২০ সালে চালুর কথা ছিল। কিন্তু সেসময় জাপানের বিধিনিষেধের কারণে সম্ভব হয়নি।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আরও জানায়, ভবিষ্যত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিমান অন্যান্য এয়ারলাইন্সের সঙ্গে চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রুট এবং কানাডার ভ্যানকুভারের মতো জনপ্রিয় রুটে যাত্রী পরিবহন করবে। এতে করে বাংলাদেশি যাত্রীরা সুবিধা পাবেন।

এআর/কেএ