প্লেনের ইঞ্জিন ও যন্ত্রাংশ কেনার ক্ষেত্রে কর প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছে এভিয়েশন খাত সংশ্লিষ্টদের সংগঠন এভিয়েশন অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এওএবি)।

আজ (মঙ্গলবার) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বাজেট প্রস্তাবনা আলোচনায় এই দাবি জানান তারা। এ বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি এনবিআরের চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত প্রস্তাবও দিয়েছে এওএবি-এর সেক্রেটারি জেনারেল নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মফিজুর রহমান।

এ সময় তারা উড়োজাহাজের যন্ত্রাংশ কেনা, ইঞ্জিন কেনা এবং ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ কেনায় তিন ধরনের কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

এওএবি জানায়, আগামী অর্থবছরে বিমানের যন্ত্রাংশ কেনার ক্ষেত্রে আরোপিত সব ধরনের কর প্রত্যাহার চাওয়া হয়েছে। উড়োজাহাজের ইঞ্জিন কেনার ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক, মুসক, আগাম কর ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া উড়োজাহাজের যন্ত্রাংশ কেনার ক্ষেত্রে আরোপিত সব কর প্রত্যাহার চাওয়া হয়েছে। 

আলোচনায় এওএবি জানায়, উড়োজাহাজ (হেলিকপ্টারসহ) এবং ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং বিপুল বৈদেশিক মুদ্রার মাধ্যমে ক্রয় করতে হয়। ব্যয়বহুল যন্ত্রাংশের ওপর ৫% অগ্রিম আয়করের সাথে নির্দিষ্ট যন্ত্রাংশের ওপর আরোপিত কর মিলিয়ে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সার্বিক করহার ১০০% অতিক্রম করে। প্রায় ভঙ্গুর বাংলাদেশি এভিয়েশন খাতের টিকে থাকার জন্য এই কর হার সহনীয় নয়।

এআর/এনএফ