শিগগিরই মধ্যপ্রাচ্যের রুট সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশ্যে উড়বে বেসরকারি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। প্রবাসী শ্রমিক, ওমরাহ ও হজগামী যাত্রীদের কারণে সৌদির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় রুট এটি।

সম্প্রতি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হয়েছে ‘আকাশপথের দৈত্য’ খ্যাত বৃহদাকার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ মডেলের এয়ারক্রাফট। এতে মোট আসন রয়েছে ৪৩৬টি। এই এয়ারক্রাফট দিয়ে সৌদি আরবের জেদ্দায় ফ্লাইট পরিচালনা করবে তারা।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স জানায়, গ্রীষ্মকালীন ফ্লাইট সূচি অর্থাৎ এ বছরের এপ্রিল বা মে মাসের মধ্যে এ রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করবে তারা। উদ্বোধনের প্রথম দিন থেকেই এ রুটে সপ্তাহে ফ্লাইট চলবে সাত দিন।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, হজ ও ওমরাহ পালনকারী বাংলাদেশি যাত্রী ও প্রবাসী কর্মীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে সৌদি আরবের বিভিন্ন গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রথমে জেদ্দা রুট দিয়ে উদ্যোগ বাস্তবায়নের দিকে এগোনো হবে।

তিনি বলেন, যাত্রীরা থার্ড ক্যারিয়ারের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া ও ট্রানজিটের জন্য অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে সৌদি আরবের বিভিন্ন গন্তব্যে ভ্রমণ করে থাকেন। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে সৌদি আরবগামী দেশি যাত্রীরা এ ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবেন।

সৌদি আরবের বিভিন্ন রুটে বর্তমানে সরাসরি ও নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স। এছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব এয়ারলাইন্স স্ব স্ব দেশে ট্রানজিট দিয়ে বাংলাদেশি যাত্রীদের সৌদি পৌঁছে দিচ্ছে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে বর্তমানে ২৩টি এয়ারক্রাফট রয়েছে। এর মধ্যে একটি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০, ৯টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০, ১০টি এটিআর ৭২-৬০০ ও তিনটি ড্যাশ ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে। এবছরই আরও একটি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ বহরে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বর্তমানে অভ্যন্তরীণ সব রুটসহ আন্তর্জাতিক রুট কলকাতা, চেন্নাই, মালে, মাস্কাট, দোহা, দুবাই, শারজাহ, ব্যাংকক, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর ও গুয়াংজু রুটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

এআর/এসএসএইচ