বাংলাদেশে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশ সরকারকে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে পুনরায় বিমান চলাচল চালুর আবেদন জানিয়েছে চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড (সিআরইসি)। বিমান চলাচল শুরু না হলে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ বিলম্বিত হতে পারে বলে মনে করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।

শনিবার (১৭ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানায় পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প চীন ও বাংলাদেশের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ একটি যৌথ প্রকল্প। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ পুরোদমে চলছে। ফলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে যাতায়াত করতে হচ্ছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ৩০ জন ব্যক্তিকে প্রতি সপ্তাহে চীনে যাতায়াত করতে হয়। তাদের মধ্যে প্রকল্প পরিচালক, নিরাপত্তা, মান যাচাই ও কারিগরি নির্মাণ কর্মকর্তারা রয়েছেন।

প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা বলছেন, করোনার জন্যে প্রকল্প পরিচালনার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা ও সাইটের শ্রম ব্যবস্থাপনা ক্রমাগত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এখন ফ্লাইট স্থগিত করার ফলে প্রকল্পের অগ্রগতিকে আরও বাধাগ্রস্ত করছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা যদি চীন থেকে নির্মাণ স্থানে সময়মতো ফিরতে না পারেন, তবে বেশ কয়েকটি কাজ বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়বে। কিছু কাজ বাধ্য হয়ে স্থগিত করতে হবে। যা নির্মাণ কাজের অগ্রগতিতে সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। 

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, চীন থেকে যেসব কর্মী বাংলাদেশে এসেছেন তারা সবাই দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন। ফলে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে তারা ঝুঁকি তৈরি করবেন না। সরকার যদি ভবিষ্যতে বাংলাদেশে ফিরে আসা চীনা কর্মীদের জন্য নির্ধারিত স্থানে সেন্ট্রালাইজড কোয়ারেন্টাইনের নীতিমালা তৈরি করে, তবে তারা আর বাংলাদেশে আসতে চাইবেন না। এই বিষয়গুলো প্রকল্পের অগ্রগতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।

বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়। ফলে চট্টগ্রামে প্রকল্পের জন্য অর্ডার করা ইস্পাত বিম, ইস্পাত বার ও বিভিন্ন সামগ্রী বহনকারী নৌযানের জট দেখা দিয়েছে। এছাড়াও উচ্চ পোর্ট ডেমারেজ ফি, অতিরিক্ত পোর্ট স্টোরেজ চার্জ ও জ্বালানি চার্জের কারণে প্রকল্পের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। ইস্পাত বিম, রেল ও অন্যান্য জিনিসপত্র আসতে বিলম্বিত হচ্ছে। যা প্রকল্পের সরঞ্জাম সরবরাহের ক্ষেত্রে একটি চ্যালেঞ্জ ছিল।

পিএসডি/ওএফ