যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং কোম্পানি থেকে উড়োজাহাজ কেনার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। এই প্রস্তাবের বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বলছে, প্রতিষ্ঠান যেখানে লাভবান হবে, যারা সুযোগ-সুবিধা বেশি দেবে, ভালো ব্যবহার করবে, তাদের সঙ্গে ব্যবসা করবো।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ট্রেনিং সেন্টার এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (এটিজেএফবি) সঙ্গে ডায়লগে এক প্রশ্নে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম এ কথা বলেন।

সম্প্রতি বিমান কর্মকর্তাদের সঙ্গে পিটার হাস বৈঠক করেছেন। বৈঠকে পিটার‌ হাস বোয়িং কেনার জন্য বিমানকে প্রস্তাব দিয়েছেন। সেই বিষয়ে কোনো অগ্রগতি রয়েছে কি না সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শফিউল আজিম বলেন, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। এখানে সরকারের শেয়ার রয়েছে। ব্যবসায়িক দিক থেকে আমাদের প্রতিষ্ঠান যেখানে লাভবান হবে, যারা সুযোগ-সুবিধা বেশি দেবে, ভালো ব্যবহার করবে, তাদের সঙ্গে আমরা ব্যবসা করবো।’

তিনি আরও বলেন, যারা আমাদের কাছে ব্যবসার প্রস্তাব নিয়ে আসে, এদের মধ্যে যারা ভালো প্রস্তাব দেন, তাদের আমরা স্বাগত জানাই। আর যদি তার প্রস্তাব ভালো না হয়, তাহলে গ্রাহক হিসেবে আপনি যা করেন আমিও তাই করি।

ডায়লগে এটিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সভাপতি তানজিম আনোয়ার।

গত ৫ ডিসেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন পিটার হাস। বৈঠকে বিমানকে বোয়িংয়ের পক্ষ থেকে ড্রিমলাইনারের নতুন মডেলের ৭৮৭-১০ এয়ারক্রাফট কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। বাংলাদেশ বিমানের বহরে বর্তমানে বোয়িং কোম্পানির ১৬টি উড়োজাহাজ রয়েছে। এসব বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ ও স্পেয়ার পার্টস সংক্রান্ত আলোচনাও হয় ওই বৈঠকে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) ২০০৯ সালে দ্বিতীয় ক্যাটাগরির নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে চিহ্নিত করে মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটি (এফএএ)। মূলত ফ্লাইট নিরাপত্তায় দুর্বলতার কারণ দেখিয়ে এটি করে এফএএ। এফএএর ক্যাটাগরি-১ ছাড়পত্র না থাকায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারছে না।

এমএসি/এসএম