মধ্যপ্রাচ্যের ওপর দিয়ে বিমান যাওয়ার সময় মাঝ আকাশে হঠাৎ জিপিএস সিগন্যাল হারিয়ে যাচ্ছে। তবে সিগন্যাল কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে আসছে। শুনতে অবাক লাগলেও গত কয়েকদিন ধরে এমন ভূতুড়ে কাণ্ডই ঘটছে মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে।

মধ্যপ্রাচ্যের ইরাকের উত্তর দিক থেকে আজারবাইজান পর্যন্ত আকাশপথেই বিমানচালকরা এমন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রথমেই বিমানে একটি ভুয়া জিপিএস সিগন্যাল ধরা পড়ছে। তা দেখে পাইলট বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন। আকাশপথে যাত্রার অভিমুখ ঠিক রাখার জন্য জিপিএস সিগন্যালের ওপরই ভরসা করতে হয় তাদের। 

বিমানচালকদের অভিযোগ, ওই সিগন্যাল এতটাই শক্তিশালী যে, বিমানের মধ্যেকার সমস্ত ইলেকট্রনিক ব্যবস্থায় গণ্ডগোল দেখা দিচ্ছে। তারপর হঠাৎই বিমানের যাবতীয় জিপিএস সিগন্যাল উধাও হয়ে যাচ্ছে!

একাধিক বিমানচালক এমন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে দাবি করছেন। বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছিল। এ নিয়ে পর্যালোচনা করে বিমান সংস্থাগুলোর জন্য সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। তাতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, এই সমস্যার কারণে বড়সড় ‘নিরাপত্তা-বিপত্তি’ হতে পারে।

মাঝ আকাশে পাইলট যে ভুয়া সিগন্যাল পাচ্ছেন, তাতে মনে করা হচ্ছে ওই সময় সিগন্যাল স্পুফ করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, কোনো সামরিক বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চালু করার ফলেই বিমানে এমন সমস্যা হচ্ছে। আঞ্চলিক উত্তেজনা রয়েছে এমন এলাকায় ওই বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চালু হচ্ছে, এর ফলেই বিমানে জ্যামিং এবং স্পুফিংয়ের মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

পাইলটরা এমন সমস্যায় পড়লে যা করবেন

এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সাধারণত এমন বিপদে পড়লে পাইলটদের মাথার ঠিক থাকে না। কিন্তু এমন বিপদ এড়ানো সম্ভব বলেই জানিয়েছে ভারতের অসামরিক বিমান পরিষেবা নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ডিজিসিএ)। বিপদের সময় ডিজিসিএ’র সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলবে পাইলটরা। শুধু তাই নয়, যদি সিগন্যাল স্পুফিং হয় তবে বিভ্রান্ত হওয়ার প্রয়োজন নেই। বিমান সংস্থা, বিমানচালক, এয়ার নেভিগেশন সার্ভিস প্রোভাইডার এবং এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলার.. সবাইকে এই নির্দেশিকা মেনে চলতে বলা হয়েছে।

এমএ