নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরলে মানতে হবে যেসব নিয়ম
করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ১৪ এপ্রিল থেকে সাতদিনের জন্য ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ দিচ্ছে সরকার। ১৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার) মধ্যরাত থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট উঠানামা সাতদিনের জন্য বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। তবে গতবারের মতো বাংলাদেশিদের দেশে ফেরাতে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে তাদের নতুন নিয়ম মানতে হবে।
বেবিচকের দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ২০ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট উঠা-নামা বন্ধ থাকবে। তবে ত্রাণসামগ্রী, কার্গো, টেকনিক্যাল ল্যান্ডিং (প্লেনের তেল নেওয়ার জন্য অবতরণ), বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ফ্লাইট ও এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ইত্যাদি চলাচল করতে পারবে। তবে বিমানবন্দর ব্যবহার করা এসব যাত্রীকে বাধ্যতামূলকভাবে যাত্রা শুরুর ৭২ ঘণ্টা আগে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে প্লেনে চড়তে হবে।
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও এই সময়ের মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত চার্টার্ড ফ্লাইটে আগতদের সরকার নির্ধারিত হোটেলগুলোতে নিজ খরচে ১৪ দিন বাধ্যতামূলকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
দেশে গত ৫ এপ্রিল থেকে সরকার ঘোষিত কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে ৫ এপ্রিল থেকে দেশে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এর আগে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ২০২০ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল বেবিচক। এরপর এই নিষেধাজ্ঞা সরকারি সাধারণ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে পর্যায়ক্রমে ১৪ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিল, ৭ মে, ১৬ মে, ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ১ জুন থেকে স্বাস্থ্যবিধিসহ কিছু বিধিনিষেধের আওতায় অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
পরে ধাপে ধাপে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কবলে আবারও বন্ধ হচ্ছে ফ্লাইট চলাচল।
এআর/ওএফ