ঢাকায় বিশ্বের ৪৭ দেশের ৫০০ এভিয়েশন কর্তার মিলনমেলার ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) সম্মেলনের পর্দা নেমেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকায় প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ৫৮তম ডিজিসিএ সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত রোববার (১৫ অক্টোবর) থেকে পাঁচ দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রায় ৪৭টি দেশ এবং ১৩টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিসহ মোট ৫০০ জন বিদেশি ডেলিগেট অংশগ্রহণ করেন।

এ বছরে সম্মেলনটির মূল প্রতিপাদ্য নির্বাচন করা হয়- প্রোমোটিং আইকাও জেন্ডার ইকুয়ালিটি প্রোগ্রাম ইন কনজাংশন উইং নেক্সট জেনারেশন অব এভিয়েশন প্রফেশনালস ইনিশিয়েটিভ। প্রতিপাদ্যের প্রথম উদ্দেশ্য হলো জেন্ডার সমতা রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করা এবং অপরটি হলো এভিয়েশন সেক্টরে আগামী দিনের জন্য দক্ষ ও প্রতিশ্রুতিশীল কর্মী গড়ে তোলা। 

সম্মেলনের সমাপনী দিনে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, সিভিল এভিয়েশন খাতে কীভাবে আন্তঃসহযোগিতা বাড়ানো যায়, কীভাবে সাসটেনেবল পদক্ষেপগুলো বাড়ানো যায়, কীভাবে এই খাতকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নেওয়া যায়, এমন বিভিন্ন আলোচনা, পরামর্শ এই সম্মেলনের মাধ্যমে উঠে এসেছে। অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা মাধ্যমে আমরা এই সম্মেলন শেষ করলাম। ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) সংশ্লিষ্টরা আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী সার্বিক সহযোগিতা করবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। ঢাকায় একটা বড় আয়োজন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় সবার প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, এ সম্মেলনটি ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশে প্রথম আয়োজন করা হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিক নির্দেশনায় ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আইকাও’র সদস্যপদ লাভ করে। 

এদিকে সম্মেলনে বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে প্রশিক্ষণ সহযোগিতা প্রসারিত করার আশ্বাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন সংস্থা (আইকাও)।

সম্মেলনে এভিয়েশন খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা, প্রশিক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও আইকাওয়ের বিভিন্ন আইনগত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

এএসএস/জেডএস