আগামী ১৫ অক্টোবর (রোববার) থেকে ঢাকায় প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) সম্মেলন শুরু হচ্ছে। পাঁচদিন দিনব্যাপী সম্মেলন শেষ হবে ১৯ অক্টোবর। 

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বেবিচক সদর দপ্তর জানায়, সম্মেলনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রায় ৪৭টি দেশ এবং ১৩টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিসহ মোট ৫০০ জন বিদেশি ডেলিগেট অংশগ্রহণ করবেন বলে আশা করা যায়। এ বছরে এ সম্মেলনটির মূল প্রতিপাদ্য নির্বাচন করা হয়েছে প্রোমোটিং আইকাও জেন্ডার ইকুয়ালিটি প্রোগ্রাম ইন কনজাংশন উইং নেক্সট জেনারেশন অব এভিয়েশন প্রফেশনালস ইনিশিয়েটিভ। প্রতিপাদ্যের প্রথম উদ্দেশ্য হলো জেন্ডার সমতা রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করা এবং অপরটি হলো এভিয়েশন সেক্টরে আগামী দিনের জন্য দক্ষ ও প্রতিশ্রুতিশীল কর্মী গড়ে তোলা। 

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) উপ-পরিচালক (পার্সোনেল) ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহেল কামরুজ্জামান জানান, বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের এই আসরটির আয়োজন করতে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার (আইকাও) ত্রি-বার্ষিক সাধারণ সভার পর এটিই আঞ্চলিক পর্যায়ে সবচেয়ে বড় আয়োজন। এ সম্মেলনটি ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশে প্রথম আয়োজন করা হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিক নির্দেশনায় ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আইকাও’র সদস্যপদ লাভ করে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের সূচনালগ্নে জাতির পিতা বুঝতে পেরেছিলেন বিভিন্ন দেশের সঙ্গে জল, স্থল ও আকাশ পথে যোগাযোগ ছাড়া সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণ হবে না। তিনি বাংলাদেশকে একটি এভিয়েশন হাব হিসাবে পরিণত করার স্বপ্ন দেখেছিলেন, তার দেখানো পথেই এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, দিক নির্দেশনা ও কর্ম-পরিকল্পনার কারণে আজ বাংলাদেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ চলমান রয়েছে।

বেবিচক জানায়, আইকাও’র সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তির এ সময়ে দ্বিতীয়বারের মতো এ সম্মেলন আয়োজন করতে পেরে জাতি হিসেবে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। এ সম্মেলনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মহাপরিচালকরা অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া আইকাও’র সভাপতি, সালভাতোর সাকিতানো, মহাসচিব হুয়ান কার্লোস সালাজার, আঞ্চলিক পরিচালক তাও মা সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।

৫ দিনব্যাপী এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।

এছাড়াও সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকা সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান, সৌদি সিভিল এভিয়েশন অথরিটি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের জেনারেল সিভিল এভিয়েশন অথরিটির প্রতিনিধি, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও ট্রান্সপোর্ট অথরিটির মোট ২০ জন সদস্যের একটি দল অংশগ্রহণ করবেন।

তাছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে এভিয়েশন খাতেরও উন্নয়ন প্রয়োজন। এ সম্মেলনে এভিয়েশন খাতে এভিয়েশন সেফটি, এয়ার নেভিগেশন, এভিয়েশন সিকিউরিটি, ফেসিলিটেশন, এয়ার ট্রান্সপোর্টগুলোর উন্নয়ন, পরিবেশ বিপর্যয় রোধ, এভিয়েশন খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রায়োগিক দিক ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হবে এবং সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হবে।

সম্মেলনে উত্থাপিত সুপারিশগুলো পরবর্তীতে আইকাও’র সাধারণ সভায় উত্থাপিত হবে।

এআর/জেডএস