বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি বিমান সংস্থা হিসেবে আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) নিরাপত্তা মান অর্জন করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অডিট অর্গানাইজেশন আরগস প্রস, যা এয়ারলাইন্সের গ্লোবাল ‍স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণে অন্যতম প্রতিষ্ঠান। 

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইএটিএ) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। আইএটিএ নির্ধারিত সারাবিশ্বের ৫টি অডিট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আরগস প্রস অন্যতম একটি অডিট প্রতিষ্ঠান। আরগস প্রস ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের আইওএসএ সার্টিফিকেট পেতে অডিটর হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করে।

তারা জানায়, আইওএসএ সনদ পেতে এয়ারলাইন্সটিকে মোট আটটি ডিসিপ্লিনের সব সূচকের অগ্রগতি বিবেচনায় আনতে হয়েছে। সূচকগুলোর মধ্যে রয়েছে ফ্লাইট অপারেশন, কেবিন সেফটি, ডিসপাচ, মেইনটেন্যান্স, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং, কার্গো অপারেশন, সিকিউরিটি এবং অর্গানাইজেশন। সর্বোপরি এসএমএস (সেফটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) ও কিউএমএস (কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম)-কে বিবেচনায় রাখতে হয়েছে। সব সূচক বিবেচনায় ইউএস-বাংলাকে আইওএসএ সনদ দেওয়ার মাধ্যমে পুরস্কৃত করেছে আইএটিএ। 

আইএটিএ অপারেশনাল সেফটি অডিট (আইওএসএ) হলো এয়ারলাইন অপারেশনাল সেফটি অডিট করার জন্য একটি গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রি স্ট্যান্ডার্ড। আইওএসএ এয়ারলাইন্সের নিরাপত্তা নিরীক্ষার ক্ষেত্রে শিল্পের মানদণ্ড হয়ে উঠেছে, যা উন্নত অপারেশনাল নিরাপত্তা এবং খরচ-কার্যকর ব্যবস্থায় অবদান রেখেছে। নিরাপত্তা, কার্যকারিতা এবং সততাকে কেন্দ্র করে, আইওএসএ সার্টিফিকেশন পাওয়ার অর্থ হলো ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এয়ারলাইনগুলোর মধ্যে অবস্থান করছে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স অপারেশনাল কার্যক্রম, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের ব্যাপক পর্যালোচনা এবং যাচাই-বাছাই করে, যা সারা বিশ্ব থেকে পাঁচজন অত্যন্ত অভিজ্ঞ এভিয়েশন পেশাদারদের মাধ্যমে নিরীক্ষিত হয়েছিল। আইওএসএ প্রোগ্রামের জন্য প্রয়োজনীয় অপারেশনাল সেফটি সংস্কৃতির বিকাশের জন্য ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের কর্মীদের ব্যাপক প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সংস্থাটি এই অপারেশনাল নিরাপত্তা নীতিগুলো গ্রহণ করেছে যা আইওএসএ নিবন্ধকরণের প্রয়োজনীয়তা বজায় রাখার জন্য ক্রমাগত মূল্যায়ন করা হবে।

এআর/জেডএস