বিমানবন্দরে কর্মরত নিরাপত্তা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর প্রত্যেক সদস্যের পরিচয় এক থাকবে, তাদের জন্য অভিন্ন ইউনিফর্ম প্রবর্তন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।

রোববার (২৫ জুন) দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গণশুনানি অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিমানবন্দরে বিভিন্ন সংস্থা থেকে এসে অফিসাররা সার্ভিস দিচ্ছেন। এখানে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, আনসার বাহিনীর ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। তারা ভিন্ন ভিন্ন বাহিনীর হলেও তাদের কাজ এভিয়েশন সিকিউরিটি নিশ্চিত করা। যেহেতু তাদের সার্ভিসটা একই তাই আমরা তাদের একটা ইউনিফর্ম প্রবর্তন করব। ইউনিফর্মের ডিজাইন ফাইনাল করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে।

এয়ারলাইন্সগুলোর লাগেজ রেখে আসার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেক সময় এয়ারলাইন্সগুলো ন্যারো বডির এয়ারক্রাফটে (ছোট এয়ারক্রাফট) যাত্রীভর্তি করে নিয়ে দেশে আসে। তখন সব লাগেজ আনতে পারে না। আমরা ইতোমধ্যে এয়ারলাইন্সগুলোকে এ বিষয়ে সতর্ক করেছি। এছাড়াও যারা ন্যারো বডির এয়ারক্রাফট নিয়ে দেশে আসে তাদের আমরা কিছু সিট ফাঁকা রেখে আসতে বলেছি।

যাত্রীদের সঙ্গে কর্মকর্তাদের আচার-ব্যবহারের বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, বিমানবন্দরে আমার বড় কনসার্ন ছিল যেন যাত্রীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা হয়। এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা বিমানবন্দরের সব স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রশিক্ষণের বাইরেও তাদের সঙ্গে বসছে, আলোচনা করছে। যাদের ব্যবহার ভালো হচ্ছে তাদের আরও বেশি মোটিভেট করতে 'বেস্ট স্টাফ' হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি গোয়েন্দা সংস্থার দুইজন কর্মকর্তা যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন, এ নিয়ে বিমানবন্দরে হট্টগোলও হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাত্রী ভোগান্তির কারণে ওই দুইজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমার স্ট্রেট কথা, যে-ই যাত্রী ভোগান্তি করবে, আমরা কাউকেই ছাড় দেব না।

এআর/এমএ