পাইলট বানাতে ২১ শিক্ষার্থীকে তাদের সব খরচ বহন করে প্রশিক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। এটিকে মহৎ ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী।

রোববার (২৮ মে) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ইউএস-বাংলার দ্বিতীয় ব্যাচের ১১ শিক্ষার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো বিষয়ক পরিচিতি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, এভিয়েশন শিল্পকে সামনে এগিয়ে নিতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে। দক্ষ জনবল হিসেবে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণের জন্য শিক্ষার্থী পাইলটদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হচ্ছে— ইউএস-বাংলার এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। মহৎ ও যুগান্তকারী এ পদক্ষেপের জন্য ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সকে আমি আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। যারা বিদেশে প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছে, আমি তাদের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করছি।

প্রশিক্ষণ নিতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমার জীবনের শুরু থেকে একটা আগ্রহ ছিল বিমানের যারা পাইলট, তাদের প্রতি। এখনো রাস্তায় যখন এয়ারলাইন্সের গাড়ি যায়, তখনও কৌতূহল নিয়ে মানুষ তাকিয়ে থাকে। আপনারা দেশে ফিরে এমনভাবে পেশাদারিত্ব বজায় রাখবেন যাতে এই সেক্টর কখনো কোনোভাবেই সমালোচিত না হয়। অন্যান্য যানবাহনের তুলনায় বিমানে অনেক টাকা ব্যয় করে একজন যাত্রী যাত্রা করেন। সুতরাং আপনারা তাদেরকে সর্বোচ্চ সেবাটা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। যদি এখানে কোনো ধরনের হেরফের হয় তাহলে কিন্তু মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।

ইউএস-বাংলা গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলাম বলেন, আজকের অনুষ্ঠানের যে উদ্দেশ্য, আমাদের ক্যাডেট পাইলটদের ট্রেনিং করানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হচ্ছে। এয়ারক্রাফটের কেবিন ক্রু যারা থাকে তাদের একটা সেগমেন্ট, সবচেয়ে বড় সেগমেন্ট হচ্ছে গ্রাউন্ড স্টাফদের। যারা টেকনিক্যালি এয়ারক্রাফটকে রক্ষণাবেক্ষণ করেন। আমার মনে হয় না ইউএস-বাংলা শুধু যারা ফ্লাই করবেন তাদের নিয়ে থাকবে। যারা প্লেনটাকে পাইলটের কাছে হ্যান্ডওভার করে আমাদের মনে হয় পরবর্তী স্টেপ সেদিকে যাবে। ইউএস-বাংলাকে আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ সিস্টেমের মধ্যে ডেভেলপ করতে পারব। এটা আমাদের জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশনস) মো. ইলিয়াস মালিক, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কমোডর সাদিকুর রহমান চৌধুরী, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক-জনসংযোগ মো. কামরুল ইসলাম, নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান প্রমুখ।

/এমএইচএন/এমএসি/এসএসএইচ/