অক্টোবরে শাহজালালের থার্ড টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের একটি অংশ এ বছরের অক্টোবরে চালু করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন। এ তথ্য জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আমরা করোনার মধ্যেও থার্ড টার্মিনালের কাজ এগিয়ে নিয়েছি। থার্ড টার্মিনাল এখন দৃশ্যমান। ইতোমধ্যে ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন বিভিন্ন রকমের যন্ত্রাংশ আসছে, সেগুলো ইন্সটল করা হচ্ছে। অক্টোবরে মূল ইনফ্রাস্ট্রাকচারের কাজ শেষে হবে।
আশা করছি অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী থার্ড টার্মিনালের একটি অংশের উদ্বোধন করবেন।
তিনি আরও বলেন, থার্ড টার্মিনাল চালু করা জাতির প্রত্যাশা ছিল। বিমানবন্দর একটি স্বাধীন দেশের গেটওয়ে। বিদেশ থেকে যেসব পর্যটকরা বাংলাদেশে আসবেন, তারা যেন বিমানবন্দরে প্রবেশ করেই দেশের উন্নয়নের বিষয়ে ধারণা নিতে পারেন। আমাদের মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু চালু হয়েছে। পাতাল রেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এখন সারাবিশ্ব বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের দিকে তাকিয়ে আছে।
দেশের এভিয়েশন খাতে নীরব বিল্পব চলছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টার্মিনাল নির্মাণ চলছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে বর্ধিতকরণসহ ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলছে। এছাড়া চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর ও যশোর বিমানবন্দরে উন্নয়ন কাজ চলছে। বহরে নতুন উড়োজাহাজ সংযুক্ত করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল এম মুফিদুর রহমানও। তিনি বলেন, এ প্রকল্পে আমাদের কিছু সাশ্রয় হয়েছে, প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। এ কারণে আমরা কিছু অ্যাডিশনাল কাজ যুক্ত করেছি, সেজন্য একটু সময় লাগবে। তবে আমরা টার্মিনাল ফেলে রাখব না। আমাদের ইক্যুইপমেন্টগুলো পুরোপুরি কার্যকর হতে সময় লাগবে। এখানে আমাদের বিমান অপারেটিং সংক্রান্ত কাজগুলো সম্পন্ন হয়ে গেছে।
প্রকল্পে অর্থ সাশ্রয় হওয়ায় অতিরিক্ত আর কী কী কাজ করা হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে টার্মিনাল হওয়ার কথা ছিল ১২টা বোর্ডিং ব্রিজ নিয়ে, সেই জায়গায় পুরো কাজ সম্পন্ন হলে ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজ হবে। এতে আমাদের সক্ষমতা বাড়বে। যেখানে ১২ মিলিয়ন যাত্রী হওয়ার কথা, সেখানে আরও ১৬ মিলিয়ন যাত্রী আমরা অতিরিক্ত নিতে পারব। রানওয়ের পশ্চিম পাশে আরেকটি ভিভিআইপি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। ধাপে-ধাপে আমরা এই টার্মিনালের কাজ সম্পন্ন করব।
সংবাদ সম্মেলনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) সুকেশ কুমার সরকার, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মালেকসহ বিমান ও বেবিচকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১ ও ২ নং টার্মিনাল পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি যাত্রীদের খোঁজ-খবর নেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।
এমএসি/কেএ