জেট ফুয়েলের দাম সঠিক সমন্বয়ের দাবিতে এবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের কাছে আর্জি জানালো বেসরকারি এয়ারলাইন্স মালিকরা।

রোববার (৬ নভেম্বর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে এবিষয়ে একটি চিঠি দেয় এভিয়েশন অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (এওএবি)।

এদিন এওএবির মহাসচিব ও নভোএয়ার লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম মফিজুর রহমান এবং এওএবির সহ-সভাপতি ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ্ আল মামুন এ চিঠি দেন।

চিঠির একটি অংশে বলা হয়েছে, এয়ারলাইন্স পরিচালনা ব্যয়ের ৪০-৪৬ ভাগই জ্বালানি খরচের ওপর নির্ভরশীল। তবে বাংলাদেশে অতি মূল্যায়িত জেট ফুয়েলের কারণে এভিয়েশন খাত অস্তিত্বের সংকটে নিপতিত। এভিয়েশন খাত দীর্ঘ করোনাকালীন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়। ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জ্বালানি তেলের অত্যাধিক মূল্যবৃদ্ধি এই খাতে উপর্যুপরি আঘাত করেছে। ফলে এয়ারলাইন্সগুলোর দেউলিয়া ঘোষণা শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, জেট ফুয়েল বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের জন্য বাংলাদেশ প্রায়ই আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের চেয়ে ৩০-৪০ শতাংশ বেশি মূল্যে ক্রয় করতে হয়। ফলশ্রুতিতে জিএমজি, ইউনাইটেড এবং রিজেন্টের মতো সম্ভাবনাময় এয়ারলাইন্সগুলো দেউলিয়া হয়েছে। জেট ফুয়েল বিক্রয়ের একক কর্তৃত্ব পদ্মা অয়েল কোম্পানির থাকায় এয়ারলাইন্সগুলো প্রতিযোগিতামূলক দামে জেট ফুয়েল ক্রয়ের অধিকার থেকে বঞ্চিত। 

অন্যদিকে একই জ্বালানি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের জন্য আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জ্বালানির চেয়ে ১৫-২৫ শতাংশ বেশি মূল্যে ক্রয় করতে হয়। অতি সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের জ্বালানি মূল্য পাঁচ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা করা হয়েছে। পক্ষান্তরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জ্বালানি মূল্য ৯ সেন্ট (প্রায় দশ টাকা) কমিয়ে ১ ডলারে নির্ধারণ করা হয়েছে, যা অভূতপূর্ব।

বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিমন্ত্রীর কাছে কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছে এওবি। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, দেশীয় প্রাইভেট সেক্টর এয়ারলাইন্স এবং হেলিকপ্টার অপারেটরদের জন্য সরাসরি পারটেক্স পেট্রোলিয়াম থেকে জ্বালানি ক্রয়ের অনুমোদন, প্রয়োজনে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে বিদেশ থেকে জেট ফুয়েল আমদানির অনুমোদন প্রদান, অভ্যন্তরীণ জ্বালানি মূল্য আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জ্বালানি মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করা।

এওবির চিঠিটি মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছে।

এআর/এসএম