রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে পাইলট নিয়োগে ওঠা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। 

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত 'বিএসআরএফ সংলাপ' এ অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। 

এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাস, সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এসেছে পাইলট নিয়োগে দুর্নীতির বিষয়ে। এটা সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তদন্ত করা হয়েছে, বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে, আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমরাও তদন্ত করেছি, বিমানের নিজস্ব তদন্তও হয়েছে। এর মধ্যে ইনিশিয়ালি যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সম্ভবত ৯ জন তারা সিলেক্ট করেছিলো, এর মধ্যে ৯ জনই বাদ পড়েছে বা জয়েন করেনি। কয়েকজন বর্তমানে সিমুলেটিং প্রশিক্ষণে আছে। তারা সেখান থেকে আসার পরে রিপোর্ট পর্যালোচনা করে তাদের চাকরির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এটাই সবশেষ তথ্য আছে আমার কাছে। পারফরমেন্স ট্রেনিংয়ের পর তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'

প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দায়িত্বে থাকাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিষয়েও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। মাহবুব আলী বলেন, যারা প্রাথমিকভাবে তাদের সিলেক্ট করেছিলোম যেহতু হাতে তদন্ত রিপোর্ট আছে তাদের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নেবো।

এসময় বিএসআরএফ-এর সহ-সভাপতি মোতাহার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী আজাদ মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন, অর্থ সম্পাদক মো. শফিউল্লাহ সুমন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. বাহরাম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য ইসমাইল হোসাইন রাসেল, হাসিফ মাহমুদ শাহ, শাহাদাত হোসেন (রাকিব), মো. বেলাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

পাইলট নিয়োগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আন্তর্জাতিক ও নিজস্ব নিয়মনীতির চরম লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে পাইলটদের সংগঠন বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা)। সংগঠনটি বলেছে, পাইলট হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে বিমানের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যকে। বিমানের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে এই নিয়োগের তদন্ত চায় তারা।

বিষয়টি তদন্তের দাবি জানিয়ে গত আগস্টের শেষে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. যাহিদ হাসানের বরাবর একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছে বাপার নির্বাহী কমিটি। একইভাবে এর প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে বিমানের প্রশাসন ও ফ্লাইট অপারেশন বিভাগের পরিচালকদের কাছে।

এসএইচআর/জেডএস