উমরাহ টিকিটের ‘বাড়তি দাম’ নিয়ে যা বলল বিমান
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সৌদি আরবের জেদ্দা ও মদিনা রুটের ৭৫ হাজার টাকার টিকিট বর্তমানে ১ লাখ ৩৬ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায়। তবে বিমানের দাবি টিকিটের দাম ‘এখনো কম’।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) ঢাকা পোস্টে ‘বিমানের সেপ্টেম্বরের ২২ শ’ টিকিট হাওয়া, উমরাহর ভাড়া দেড় লাখ!’ শিরোনামে একটি নিউজ ছাপা হয়। নিউজ ও উমরাহর ভাড়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক জনসংযোগ তাহেরা খন্দকার।
বিজ্ঞাপন
ব্যাখ্যায় উল্লেখ করা হয়, ‘সম্প্রতি কয়েকটি প্রিন্ট/অনলাইন মিডিয়ায় বিমান কর্তৃক উমরাহ যাত্রীদের নিকট হতে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের টিকিটের জন্য বেশি ভাড়া রাখা হচ্ছে মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিমানের বক্তব্য এই যে, উমরাহ যাত্রীদের জন্য বিমানের ভাড়া স্তরভেদে ৭৫০ ডলার হতে ৯০০ ডলার। নাম ও তথ্য ছাড়া কোনো টিকিট দেওয়া হয়নি এবং নিয়মানুযায়ী বিমানের সেলস সেন্টার থেকেই টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। পাশাপাশি অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমেও টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।’
প্রতিবেদকের বক্তব্য
বিমানের ব্যাখ্যা সম্পর্কে ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আদনান রহমান বলেন, ‘বিমানের ব্যাখ্যা সম্পূর্ণ মনগড়া। শনিবার সকালে বিমানের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা গেছে, সেপ্টেম্বর মাসে উমরাহ যাত্রীদের রিটার্ন টিকিটের ভাড়া ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা বা ১ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলারের বেশি। এখনো ইকোনমি ক্লাসের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না।’
‘এ ছাড়া, বিমান দাবি করেছে তারা যাত্রীর নাম ও তথ্য ছাড়া কোনো টিকিট ইস্যু করেনি। বিমানের এ দাবি মিথ্যা। মতিঝিলের ইন্যামন এভিয়েশন লিমিটেড বিমানের কাছ থেকে পে অর্ডারের মাধ্যমে নাম ও পাসপোর্ট নম্বর ছাড়া ৩০টি গ্রুপ টিকিট কিনেছে। এর প্রমাণ ঢাকা পোস্টের কাছে রয়েছে। ঢাকা পোস্টের কাছে কাজী এয়ার ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক কাজী মোহাম্মদ মফিজুর রহমান পাসপোর্ট নম্বর ছাড়া বিমানের গ্রুপ টিকিট কেনার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের টিকেট কেনার প্রমাণও রয়েছে।’
‘নাম-পাসপোর্ট ছাড়া যেসব এজেন্সি টিকেট কেটেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে সিস্টেমে ঢুকে সেসব গ্রুপ বুকিং টিকেট বাতিল করা হয়েছে’— বিমানের এমডি ও সিইও মো. যাহিদ হোসেনের এমন দাবির বিষয়ে ঢাকা পোস্টের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আদনান রহমানের বক্তব্য, ‘যদি এজেন্সিকে গ্রুপ টিকিট না দেওয়া হতো, তাহলে টিকেট বাতিলের কোনো প্রশ্নই আসতো না।’
ঢাকা পোস্টের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সেপ্টেম্বর মাসে সৌদিগামী উমরাহ যাত্রীদের বেশ থাকে। উমরাহ যাত্রীরা মূলত জেদ্দা ও মদিনা রুট ব্যবহার করে সৌদি আরবে প্রবেশ করেন। এ সুযোগে বিমানের কর্মকর্তারা কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সিকে এ দুই রুটের ইকোনমি ক্লাসের প্রায় ২২ শ’ টিকিট ‘গ্রুপ বুকিং’ করার সুযোগ দিয়েছে। ফলে সেপ্টেম্বরে টিকিটের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে। এতে ওই রুটে বিমানের ৭৫ হাজার টাকার ভাড়া গিয়ে ঠেকেছে ১ লাখ ৩৬ হাজার থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায়।
এআর/আরএইচ