সময় তখন সকাল ১০টা ২০। কলকাতা বিমানবন্দরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) কে বার্তা পাঠানো হলো ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইট জরুরি অবতরণ করতে চায়। মুহূর্তেই বিমানবন্দরের এয়ারপোর্ট অপারেশনাল কন্ট্রোল সেন্টারের পক্ষ থেকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। প্রস্তুত রাখা হয় বিমানবন্দরে দমকল, অ্যাম্বুলেন্স, সিআইএসএফের কর্মীদের।

রোববার সকালে এ রকম ঘটেছে দিল্লি থেকে কলকাতাগামী ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে। পাইলট কলকাতা এটিসিকে জানায়, ককপিটে ফায়ার অ্যালার্ম বেজেছে, কার্গো হোল্ডে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে। এরপরেই এটিসি সঙ্গে সঙ্গে জরুরি অবতরণের অনুমতি দেয়। তবে এর একটু সময় পরই পাইলট আবার এটিসিকে জানায় অ্যালার্মটা ফলস ছিল। আগুনের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু যেহেতু জরুরি অবতরণ ডিক্লেয়ার করা হয়েছিল সেই কারণে তাৎক্ষণিক ১৬৫ জন যাত্রীকে নিয়ে অবতরণ করে ফ্লাইট।

জানা যায়, মাঝ আকাশে দিল্লি থেকে কলকাতাগামী উড়োজাহাজের কার্গো হোল্ডে ধোঁয়া দেখা দেওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। তখন সকাল ১০টা বেজে ২০ মিনিট। গোটা বিষয়টি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে জানানো হয়। দুই মিনিটের মধ্যে অর্থাৎ ১০টা ২২ নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ারপোর্ট অপারেশনাল কন্ট্রোল সেন্টারের পক্ষ থেকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। সেইমতো বিমানবন্দরে দমকল, অ্যাম্বুলেন্স, সিআইএসএফের কর্মীদের মোতায়েন করা হয়।

সকাল ১০টা ৪৩ নাগাদ দিল্লি থেকে ইন্ডিগোর ৬ই ২৫১৩ প্লেনটি ১৬৫ জন যাত্রী এবং ৬ জন কেবিন ক্রু নিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্লেনটি রানওয়ে ছোঁয়ার পর তার এমার্জেন্সি দরজা দিয়ে যাত্রীদের বের করে নিয়ে আসা হয়। বিমানের চারিদিক ঘিরে ফেলে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ এবং বিমানবন্দরের ফায়ার টেন্ডার। বেলা ১১টা ২২ মিনিট নাগাদ ওই জরুরি অবস্থার অবসান হয়।

এদিকে যাত্রীরা নিরাপদে বিমানবন্দরে নামলেও তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কেন এমন এমার্জেন্সি পরিস্থিতি তৈরি হলো পুরোপুরি স্পষ্ট না হলেও পরে যখন বিমানবন্দরে নেমে গোটা বিষয়টি জানতে পারেন চোখে মুখে ভয়ের ছাপ দেখা যায় তাদের। তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার কলকাতা বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ জরুরি অবতরণ করতে দেখা গেছে।

এসএম