বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. যাহিদ হোসেন

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভাড়া অন্যান্য এয়ারলাইন্সের সঙ্গে সমন্বয় করে আরো প্রতিযোগিতামূলক করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. যাহিদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিমানের বলাকা ভবনে আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে তিনি একথা বলেন।

রাষ্ট্রীয় এয়ারলাইন্স হিসেবে বিমান যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া কম নেবে কিনা?- এমন এক প্রশ্নের জবাবে এমডি বলেন, বিমানের ভাড়া এমনিতেই ‘অ্যাফোর্ডেবল’ (সাধ্যের মধ্যে)। তারপরও আমরা বিমানের ভাড়া আরও কম্পেটেটিভ করব। যদি কোনো রুটে বিমানের ভাড়া অন্য এয়ারলাইন্সের চেয়ে বেশি থাকে, সেটি আমরা দেখছি।

বিমানের টরন্টো ফ্লাইট কতটা লাভজনক? জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত টরন্টো ফ্লাইটে যত যাত্রী পেয়েছি তা আশাপ্রদ। ইতোমধ্যে কোনো কোনো ফ্লাইটে ২৫০টির বেশি সিট বুকিং হয়েছে। পাশাপাশি এই রুটে কার্গো পরিবহন করছি।

তিনি বলেন, গত ফ্লাইটে আমরা ১০ টনের মতো কার্গো পরিবহন করেছি। কার্গো থেকে ৭০ হাজার মার্কিন ডলার আয় করেছি। আমরা যদি বিজনেস ক্লাস যাত্রী এবং কার্গো বহন বাড়াতে পারি তাহলে এই রুট লাভজনক হবে। এছাড়া, বর্তমানে আমরা ভারত নেপালের মতো দেশের ৭০-৮০ রিজিওনাল যাত্রী পাচ্ছি। এটাও ভালো দিক।

আরও পড়ুন : বিমানের কাস্টমার সার্ভিস কাঙ্ক্ষিত মানের না, স্বীকার করলেন এমডি

মন্ত্রী-এমপিসহ সরকারি কর্মকর্তাদের দেশে ও বিদেশের সফরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে উঠার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তারা বিদেশি ও প্রাইভেট এয়ারলাইন্স ব্যবহার করছেন। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে যাহিদ হোসেন বলেন, অনেক ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের এমন দেশে গন্তব্য থাকে যেখানে বিমানের ফ্লাইট নেই। সেখানে তারা অন্য এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে যান। আর দেশীয় সফরের ক্ষেত্রে তারা যদি প্রাইভেট এয়ারলাইন্স ব্যবহার করেন, তাহলে তো আমরা কিছু বলতে পারি না।

বিমানের পাইলট নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে এমডি বলেন, এটা নিয়ে ইন্টারনাল তদন্ত চলছে। পাশাপাশি আমরা সিভিল এভিয়েশনের সাথেও কথা বলছি।

এআর/এমএইচএস