বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাস্টমার সার্ভিস কাঙ্ক্ষিত (এক্সপেক্টেড) মানের না বলে স্বীকার করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. যাহিদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিমানের বলাকা ভবনে আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে তিনি একথা বলেন।

নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে বিমানের এমডি বলেন, করোনায় সারা পৃথিবীর এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। অনেক এয়ারলাইন্স বন্ধ হয়ে যায়। আমরা (বিমান) সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠেছি। ২০২১-২২ সালে ২২ লাখ যাত্রী পরিবহন করেছি।

দায়িত্ব নেওয়ার পর তার প্রধান লক্ষ্য কী- জানতে চাইলে এমডি বলেন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমার প্রধান লক্ষ্য লাভ করা, বিমানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করা। বিমানের যাত্রীদের স্যাটিসফ্যাকশন নিশ্চিত করা। তবে আমাদের কাস্টমার সার্ভিস এক্সপেক্টেড পর্যায়ের না, এটাতে আরও উন্নতি করার সুযোগ আছে।

>> মদ চেয়ে বিমানের টরন্টো ফ্লাইটে যাত্রীর হইচই

তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের প্রথম উদ্দেশ্য হলো বিমানকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা। তাই আমরা সব সিদ্ধান্ত বাণিজ্যিকভাবেই নেব। তবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে জনগণের সঙ্গে রাষ্ট্রের কমিটমেন্টকেও রক্ষা করা হবে।

এমডি বলেন, বর্তমানে বিমানের বার্ষিক টার্নওভার ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। বিমানকে আমরা এমন একটি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে চাই যার বার্ষিক টার্নওভার হবে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটা করতে হলে আমাকে ব্যবসাকে বড় করতে হবে, সিদ্ধান্তগুলো ব্যবসায়িক চিন্তাভাবনা করে নিতে হবে।

>> ত্রুটিপূর্ণ লিজে গচ্চা ১১শ কোটি, বিমানের বলাকা অফিসে দুদক

তিনি বলেন, আমাদের প্রায় ৮০ লাখ প্রবাসী রয়েছে। তারা বিমানে চলাচল করতে চায়। আমরা আমাদের প্লেনগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার করার চেষ্টা করব। এটাই আমার লক্ষ্য। 

এ বছরের ১৩ জুলাই বিমানের এমডি ও সিইওর দায়িত্ব পান অতিরিক্ত সচিব মো. যাহিদ হোসেন।

এআর/ওএফ