আগামী ২ জুন থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে ১৭তম আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা ‘ট্রিপলাভার ঢাকা ট্রাভেল মার্ট-২০২২’। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে শুরু হতে যাওয়া ৩ দিনব্যাপী এ মেলা শেষ হবে ৪ জুন।

শনিবার মেলা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ মনিটর। মেলায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যাত্রীদের প্লেন টিকিট ১০% ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৫% ডিসকাউন্টে বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বৃহস্পতিবার (২ জুন) বেলা ১১টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলাটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এবারের মেলায় প্রায় ৫০টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। এর মধ্যে জাতীয় পর্যটন সংস্থা এয়ারলাইন, ট্যুর অপারেটর, হোটেল, রিসোর্ট, ট্রাভেল এজেন্সি, অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সংস্থাও রয়েছে। 

তিনি আরও জানান, ৩ দিনব্যাপী পর্যটন মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভিজিট করা যাবে। প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে জনপ্রতি ৪০ টাকা। প্রবেশ কুপনের ওপরে সমাপনী দিনে একটি র‌্যাফেল ড্রর আয়োজন করা হবে। বিজয়ীদের জন্য থাকবে মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, দিল্লি, কলকাতা, কক্সবাজার এবং সিলেটের জন্য রিটার্ন টিকিটসহ আকর্ষণীয় অন্যান্য পুরস্কার।

ঢাকা ট্রাভেল মার্ট ২০২২ এর টাইটেল স্পন্সর অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ট্রিপলাভার, কো-স্পন্সর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। পার্টনার হিসেবে আয়োজনে সহযোগিতা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এবং বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রিপলাভারের মহাব্যবস্থাপক ও হেড অব অপারেশন্স নিশা তাসনীম শেখ বলেন, আমরা এ ধরনের ট্রাভেল মার্ট আয়োজনের অংশ হিসেবে থাকতে পেরে গর্বিত। এই ট্রাভেল মার্টের কারণে আজ বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মতো এ খাতের সব প্রতিষ্ঠান এক জায়গায় বসতে পারব।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে যখন সারাবিশ্বের সব যোগাযোগ স্থবির হয়ে গিয়েছিল, তখন ট্রিপলাভার যাত্রা শুরু করে। তবে কোভিডের কারণে ট্রাভেল মার্ট অনুষ্ঠিত হয়নি। ২০২০ এবং ২০২১ এ আমরা যেসব দর্শনার্থী ও ভ্রমণ পিপাসুদের মিস করেছি, আমরা চাই তারা মেলায় আসুক।

এ সময় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম বলেন, একটা সময় সারাবিশ্ব যখন স্থবির ছিল তখন একমাত্র ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা-গুয়াঞ্জু রুটে ফ্লাইট চালিয়ে বিমানবন্দর সচল রেখেছিল। এমনকি সে সময় অনেকে ভারতের চেন্নাই চিকিৎসার জন্য গিয়ে কোভিডের জন্য আটকে গিয়েছিলেন। তাদের জন্য চার্টার্ড এয়ারলাইন্স পরিচালনা করে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। সে সময় অনেকের কাছে দেশে ফেরার টাকা ছিল না। আমরা তাদের টাকা ছাড়াই ফিরিয়ে এনেছি, দেশে ফিরে তারা টিকিটের মূল্য পরিশোধ করেছেন।

তিনি বলেন, কোভিড পরবর্তী সময়েও আমরা বাংলাদেশের এভিয়েশন ও ট্যুরিজম যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেই চেষ্টা করছি। তারই অংশ হিসেবে আমরা এই মেলার কো-স্পন্সর করছি। আমার আশা মেলার মাধ্যমে এই খাত আবারও ঘুরে দাঁড়াবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) বিক্রয় ও বিপণন মো. জাহিদ হোসেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এআর/এসকেডি