ঢাকা থেকে সরাসরিই কানাডার টরন্টোতে ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। মাঝে তৃতীয় একটি দেশে স্টপওভার নেওয়া হবে। সেই স্টপওভারে তেল নিয়ে আবারো রওনা দেবে টরন্টোর উদ্দেশে।

রোববার ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড. আবু সালেহ্‌ মোস্তফা কামাল। 

তিনি বলেন, সরাসরি বা ডিরেক্ট ফ্লাইট দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি স্টপওভারসহ, আরেকটি নন-স্টপ ডিরেক্ট ফ্লাইট। বিমান স্টপওভারসহ ফ্লাইট পরিচালনা করবে, এর মানে এই না যে, ফ্লাইট সরাসরি হবে না। বিমানের টরন্টো ফ্লাইট অবশ্যই সরাসরি হবে। তবে মাঝে তেল নেওয়ার জন্য (রিফুয়েলিং) একবার তৃতীয় একটি দেশে নামবে।

এমডি আরও বলেন, তেল নেওয়ার জন্য কোন দেশে থামতে পারে, তা নির্ধারণের জন্য ইতিমধ্যে একটি কমিটিও করেছে বিমান। এ বিষয়ে কমিটি বিস্তারিত সিদ্ধান্ত দেবে।

এমন সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিমানের নন-স্টপ ফ্লাইট পরিচালনা করার সিদ্ধান্তটাও লাভজনক ছিল। তবে স্টপওভারসহ ফ্লাইট পরিচালনা করলে এ রুটটি আরও লাভজনক হবে। ঢাকা থেকে টরন্টো যাওয়ার সময় স্টপওভারের কথা চিন্তা করা হলেও ফেরার সময় ফ্লাইটটি নন-স্টপই ফিরবে।

টরন্টো রুটে বিমান বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনারের মাধ্যমে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। ফ্লাইটটির ধারণক্ষমতা ২৯৮ জন। বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রায় ১৫ ঘণ্টার এই রুটে বেশি পরিমাণ তেল নেওয়ার কারণে ১২০-১৩০ জন যাত্রী বহন করা হবে। যদি বিমান ঢাকা থেকে কম তেল নেয় এবং তৃতীয় কোনো দেশে ল্যান্ড করে পুনরায় তেল নেয় (রি-ফুয়েলিং) সেক্ষেত্রে আরও বেশি সংখ্যক যাত্রী বহন করা যাবে। এছাড়া এ রুটে ভাড়া কমানোর পরিকল্পনাও করছে বিমান।

বিমানের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ইউরোপ অথবা এশিয়ার কোনো দেশে তেল নেওয়ার জন্য নামার পরিকল্পনা রয়েছে। কোন দেশে নামবে তা এখনো নির্ধারণ হয়নি। তবে জার্মানির যে কোন বিমানবন্দর অথবা উজবেকিস্তানের তাশখন্দে নামার সম্ভাবনাই বেশি। শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে বিমান। আগামী জুন মাসে এ রুটে নিয়মিত ফ্লাইট চালু হবে।

গত ২৬ মার্চ রাতে ঢাকা-টরন্টো রুটে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমান। প্রায় ১৯ ঘণ্টা উড়ে ফ্লাইটটি টরন্টো পৌঁছে। ৩০ মার্চ দুপুরে ‘প্রুভেন ফ্লাইট’ নাম দিয়ে টরেন্টো থেকে ১৬ ঘণ্টা উড়ে ফ্লাইটটি ঢাকায় নামে।

এআর/আরএইচ