ছবি : এয়ারবাস

দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের এভিয়েশন খাত অনেক ছোট। তবু এই দেশে ব্যবসা করতে চায় বিশ্বের অন্যতম প্লেন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস। বর্তমানে পৃথিবীতে তাদের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বোয়িং। সেই বোয়িংকে টেক্কা দিয়ে এবার বাংলাদেশে ব্যবসা করতে চায় এয়ারবাস।

বর্তমানে বাংলাদেশের এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানগুলোর কারও কাছেই নেই এয়ারবাসের প্লেন। বিমান ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে অধিকাংশই বোয়িং। আর তাই বাংলাদেশে ব্যবসা করতে সম্প্রতি অত্যাধুনিক ডিজাইনের এ-৩৫০ মডেলের একটি প্লেন ঢাকায় পাঠিয়েছে এয়ারবাস। শো-কেসিংয়ের (প্রদর্শনী) অংশ হিসেবে তিন দিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছিল এয়ারক্রাফটটি। ১৮ মার্চ দেশে আসা এয়ারবাস ফিরে যায় ২০ মার্চ।

রোববার (২০ মার্চ) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীর নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সিভিল অ্যাভিয়েশনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন। তারা প্লেনের ভেতর ঢুকে এর বিভিন্ন অংশ দেখেন। আকাশে আধা ঘণ্টার মতো ভ্রমণ করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। প্লেনটি দেখে তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘সকালটা অনেক বৈচিত্র্যে ভরপুর ছিল। ফরাসী কোম্পানি এয়ারবাস তাদের নতুন আকাশযান এয়ারবাস এ-৩৫০ নিয়ে এসেছে আমাদের দেখানোর জন্য। আমরা দেখলাম-মুগ্ধ হলাম। প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার জগতটাকে আরও বদলে দিচ্ছে সেটাই লক্ষ্যণীয়।’

সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে বেসরকারি এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান ইউএস-বাংলা তাদের বহরের জন্য এয়ারবাস কেনার পরিকল্পনা করেছে।

এদিকে বাংলাদেশে প্লেনটির প্রদর্শনী করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে এয়ারবাস। নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তারা লিখেছে, ‘বাংলাদেশে এয়ারবাসের এ-৩৫০ প্রদর্শন করতে পেরে আমরা রোমাঞ্চিত।’

এছাড়া উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তারা। 

এয়ারবাস জানায়, আধুনিক উড়োজাহাজটি তাদের আগের মডেলের উড়োজাহাজের তুলনায় ২৫ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয়ী, পরিচালন ব্যয়ও ২৫ শতাংশ কম। একই সঙ্গে আগের যেকোনো প্রজন্মের (জেনারেশন) উড়োজাহাজের তুলনায় ২৫ শতাংশ কম কার্বন নিঃসরণ করে এ-৩৫০ মডেলের উড়োজাহাজটি। এতে বসতে পারবে সর্বোচ্চ ৪১০ জন যাত্রী। 

এআর/এসএসএইচ