মার্চে উদ্বোধন, ঢাকা-টরন্টো নিয়মিত ফ্লাইট জুনে
ঢাকা থেকে কানাডার টরন্টো রুটে আগামী ২৬ মার্চ উদ্বোধনী ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। তবে এই ফ্লাইট পরীক্ষামূলক, নিয়মিত ফ্লাইট চালু হবে জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্র জানায়, গত দুই বছর ধরে চেষ্টা করে অবশেষে বাণিজ্যিক এই ফ্লাইটটি শুরু করার প্রস্তুতি নিয়েছে বিমান। ২৬ মার্চ পরীক্ষামূলকভাবে এবং ১১ জুন রাত পৌনে ১১টায় প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট চলবে। ঢাকা থেকে বিরতিহীনভাবে ১৫ ঘণ্টা ফ্লাইট পরিচালনা করে ১২ জুন কানাডার স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ৭টায় টরন্টো পৌঁছাবে ফ্লাইটটি। বিমানের বোয়িং-৭৮৭ মডেলের এয়ারক্রাফট দিয়ে ফ্লাইটটি পরিচালনা করা হবে।
বিজ্ঞাপন
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রবাসীরা টরন্টো ফ্লাইট নিয়ে খুবই ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। আমরা ফ্লাইটটি যতদ্রুত সম্ভব চালু করার চেষ্টা করছি। এই রুটে ফ্লাইট চালাতে গিয়ে ১৭টি শর্ত ছিল কানাডার। এর মধ্যে ১৫টি পূরণ করা হয়েছে। বাকি দুটি শর্তপূরণের জন্য একটি প্রতিনিধি দল এখন কানাডায় অবস্থান করছে। যেভাবেই হোক মুজিববর্ষেই টরন্টো ফ্লাইট চালু করা হবে। আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা যাচাইবাছাই করছে টরেন্টো থেকে ফেরার সময় কোনো দেশে টেকনিক্যাল ল্যান্ডিংয়ের প্রয়োজন আছে কি না। প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। এই রুটের ভাড়া নির্ধারণের কাজ চলছে।
এদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্র জানায়, ঢাকা-টরন্টো-ঢাকা রুটে ইকোনমি ক্লাসে সম্ভাব্য রিটার্ন ভাড়া ধরা হয়েছে ১৪০০ মার্কিন ডলার, প্রিমিয়াম ইকোনমি ক্লাসে ২৪০০ মার্কিন ডলার এবং বিজনেস ক্লাসে ৪ হাজার মার্কিন ডলার।
এছাড়াও একই রুটে ওয়ানওয়ের ভাড়া হতে পারে ইকোনমি ক্লাসে ১ হাজার মার্কিন ডলার, প্রিমিয়াম ইকোনমি ক্লাসে ১৫০০ মার্কিন ডলার এবং বিজনেস ক্লাসে ২৫০০ মার্কিন ডলার।
টরন্টোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক এবং জাপানের নারিতা ফ্লাইট চালুর প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
এআর/এইচকে