খাদ্য উৎপাদনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে আরও আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. আরিফুর রহমান অপুর বিদায় অনুষ্ঠানের মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। মো. আরিফুর রহমান অপু সম্প্রতি গ্রেড-১ হিসাবে পদোন্নতি পেয়ে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ শুরু করেছেন।

দেশ যত উন্নতই হোক কৃষির যদি উন্নতি না হয়, তাহলে মানুষের জীবিকার উৎস বাড়বে না, আয় বাড়বে না উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের ৬০-৭০ শতাংশ মানুষ যারা গ্রামে বাস করেন তাদের আয় মূলত কৃষির ওপর নির্ভরশীল। এসব মানুষের আয় না বাড়লে স্থানীয় বাজার উন্নত হবে না। আর স্থানীয় বাজার উন্নত না হলে শিল্প-কারখানার প্রসার লাভ করবে না।

আমাদের দায়িত্ব হলো কৃষি উৎপাদন বাড়ানো এবং পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা উল্লেখ করেন কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ কাজে আমাদের সফল হতে হবে। এক্ষেত্রে মূল চ্যালেঞ্জ হলো আমাদের বিরাট জনসংখ্যার জন্য খাদ্য উৎপাদন করতে হবে।

কৃষিমন্ত্রী জানান, পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য দুধ, মাংস, ডিম, মাছ প্রভৃতি উৎপাদনের জন্য পোলট্রি, ডেইরি ও ফিস ফার্ম করতে হচ্ছে, ফিডের জন্য ভুট্টার চাষ হচ্ছে। এছাড়া তেলজাতীয়, ডালজাতীয় ফসল উৎপাদনও বাড়াতে হবে। এসব চাষাবাদের জন্য দরকার জমি।

কিন্তু বিভিন্ন কারণে চাষের জমি কমছে উল্লেখ করে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সব ফসলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া বাংলাদেশের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে আরও আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ড. মো. আবদুর রৌফ, অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) মো. মাহবুবুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (গবেষণা) কমলারঞ্জন দাশ, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি) মো. রুহুল আমিন তালুকদার, মহাপরিচালক (বীজ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা উপস্থিত ছিলেন।

একে/জেডএস