১০০ দিনে ঘরে উঠছে বিনা ১৬-১৭ ধান
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) উদ্ভাবিত বিনা-১৬ ও বিনা-১৭ আমন ধান ১০০ দিনের মধ্যে উত্তরাঞ্চলের কৃষকেরা ঘরে তুলতে পারছেন। এ ধান কাটার পর আলু ও সরিষাসহ অন্যান্য ফসল চাষ করা যাবে।
শুক্রবার বিকেলে রংপুরের তারাগঞ্জে বিনা-১৬ ও বিনা-১৭ জাতের ধানের নমুনা কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিজ্ঞাপন
ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আগে আশ্বিন-কার্তিক মাস আসলেই আগে উত্তরাঞ্চলে মঙ্গা বা আধা দুর্ভিক্ষ দেখা দিতো। বেশির ভাগ মানুষের ঘরে খাবার থাকতো না। আমন ধান ঘরে তোলার আগ পর্যন্ত খাবার জুটত না। বর্তমান সরকারের নানা পদক্ষেপের ফলে ইতোমধ্যে দেশ থেকে মঙ্গা দেশ থেকে দূর হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন মানুষ মঙ্গার কথা ভুলে গেছে। এ অবস্থায় আমাদের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত আগাম জাতের আমন ধানের চাষ রংপুর, নীলফামারীসহ উত্তরাঞ্চলে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত করতে পারলে দেশে ভবিষ্যতে আর কোন দিন মঙ্গা ফিরে আসবে না। এসব জাত দ্রুত কৃষকের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে। ফসলের নতুন বিন্যাসকে দ্রুত কাজে লাগাতে হবে। এ উন্নত আগাম জাতগুলো চাষ করলে মানুষের ঘরে আশ্বিন-কার্তিক মাসেও খাবার থাকবে।
রংপুরের তারাগঞ্জে মাঠ দিবসের এ অনুষ্ঠানে সরাসরি উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ, বিনার ডিজি মির্জা মো. মোফাজ্জল ইসলাম, রংপুরের জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানীরা।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিনা-১৬ ও বিনা-১৭ হলো বিনা উদ্ভাবিত আমন মৌসুমের জন্য উচ্চফলনশীল ও স্বল্প জীবনকালের ধানের জাত। বিনা-১৬ এর জীবনকাল মাত্র ৯৫-১০০ দিন এবং গড় ফলন বিঘা প্রতি ২৪ মণ। বিনাধান-১৭ এর জীবনকাল ১১০-১১৫ দিন এবং গড় ফলন বিঘা প্রতি ২৭ মণ। এ জাতগুলোর জীবনকাল কম হওয়ায় পানি ও অন্যান্য উপকরণ খরচ কম লাগে। বিনাধান-১৭ জাতে ইউরিয়া সার এক-তৃতীয়াংশ কম প্রয়োজন হয় ও ৫০ শতাংশ কম সেচ দিতে হয়।
একে/আরএইচ