ছবি : হাসনাত কাদীর

চলছে বর্ষাকাল। আবহাওয়া অধিকাংশ সময়ই থাকছে আর্দ্র। এ সময়ে প্রাণিদের রোগ-বালাইসহ নানা প্রতিবন্ধকতা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই দরকার বাড়তি যত্ন।

শুক্রবার (৬ আগস্ট) কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক কৃষিবিদ কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী ঢাকা পোস্টকে জানান, এ সময়ে পোল্ট্রি, গরু, ছাগলসহ সকল প্রাণিদের যত্নে সতর্ক থাকতে হবে খামারিদের। রোগ-বালাই হলে সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থা ও যত্ন নিতে হবে। 

কৃষি তথ্য সার্ভিস জানায়, এ সময়ে আবহাওয়ায় আর্দ্রতা থাকে বেশি। ফলে পোলট্রির রোগবালাই বেড়ে যায়। তাই সতর্ক থাকতে হবে। প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিসেবে খামার জীবাণুমুক্তকরণ, ভ্যাকসিন প্রয়োগ, বায়োসিকিউরিটি- এসব কাজ সঠিকভাবে করতে হবে।

বায়োসিকিউরিটির জন্য খামারকর্মীদের জীবাণুমুক্ত জুতা ও অ্যাপ্রোন পরে খামারে ঢোকা, কমবয়সী পশুদের বেশি যত্ন নেওয়া, শেডে জীবাণুনাশক স্প্রে করা, মুরগির বিষ্ঠা ও মৃত মুরগি খামার থেকে দূরে মাটিতে পুঁতে ফেলা, পোলট্রি শেডের ঘরের মেঝে কস্টিক সোডার পানির দ্রবণ দিয়ে ভিজিয়ে পরিষ্কার করা জরুরি। আর্দ্র আবহাওয়ায় পোলট্রি ফিডগুলো অনেক সময়ই জমাট বেঁধে যায়। সেজন্য পোলট্রি ফিডগুলো মাঝে মাঝে রোদ দিতে হবে। 

বর্ষাকালে হাঁস-মুরগির আফলাটক্সিনের প্রকোপ বাড়ে। এতে হাঁস-মুরগির রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এজন্য খাদ্যতালিকায় সূর্যমুখীর খৈল, সয়াবিন মিল, মেইজ গ্লুটেন মিল, সরিষার খৈল, চালের কুঁড়া ব্যবহার করা ভালো।

গবাদিপশুকে পানি খাওয়ানোর ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ, দূষিত পানি খাওয়ালে নানা রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। 

ছবি : হাসনাত কাদীর

ক্ষুরা, বাদলা, তড়কা, গলাফোলা রোগের প্রতিষেধক দিতে হবে। গোখাদ্যের জন্য রাস্তার পাশে, পুকুর পাড়ে বা পতিত জায়গায় ডালজাতীয় শস্যের আবাদ করতে হবে। গরু, মহিষ ও ছাগল ভেড়াকে যতটা সম্ভব উঁচু জায়গায় রাখতে হবে।

গর্ভবতী গাভি ও বাছুরের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। বাছুরের পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এজন্য নিয়মিত দুধ ও মিল্ক রিপ্লেসার খাওয়ানোর পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি খাওয়াতে হবে। এসব যত্নের পাশাপাশি যেকোনো দরকার হলে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে সঠিক ব্যবস্থা নিতে হবে।

একে/এইচকে