দিগন্তজোড়া সোনালি ধান

উঠান ভর্তি ধানের গাদা। মাড়াই কাজে ব্যস্ত কৃষক। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মৌলভীবাজারে আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। ফলে খুশি সেখানকার কৃষক।

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মুটুকপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম জানান, গত বছর যে জমিতে ছয় মণ ফসল হয়েছিল এবার সেই জমিতেই হয়েছে ১০মণ। এখন তার চাষ করা ১৬ একর জমির ধান কাটা শেষ। ধান মাড়াই করে, শুকিয়ে ঘরে তুলবেন।

তিনি বলেন, আমি অন্যের জমিতে চুক্তি ভিত্তিতে ধান চাষ করি। গত বছর কিয়ার (বিঘা) প্রতি ধান পেয়েছিলাম ৭ মণ। এবার পেয়েছি ১৩মণ। জমির মালিককে প্রতি কিয়ারে পাঁচ মণ দিব। আর বাকি ধান আমি আমার ঘরে তুলব। এবার ভাল ফলন হয়েছে।

মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর মৌলভীবাজার জেলায় ২ লাখ ৯৪ হাজার ২৯২ মেট্রিক টন আমন ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ১ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে শুধু রোপা আমন চাষ হয়েছে। ২০১৯ সালে জেলায় আমন ধানের উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৮৫ হাজার ৪২৮ মেট্রিক টন। এবার ৮ হাজার ৮৬৪ মেট্রিক টন বেশি উৎপাদন হয়েছে। 

মাড়াই করা ধান

কাউয়াদিঘি হাওরের কৃষক রাজন আহমদ বলেন, এবার সারের দাম কিছুটা কম ছিল। গত বছর যে সারের বস্তার দাম ১২শ ছিল এবার ৮শ থেকে এক হাজার টাকায় কিনেছি। এখন ধানের মণ ৫শ থেকে ৬শ টাকা। সরকার যদি নির্ধারিত মূল্য এক হাজার টাকা করে দেন তাহলে ক্ষতি পোষাতে পারব। 

মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কাজী লুৎফুর বারি বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার আবাদ ভাল হয়েছে। গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি উৎপাদন হয়েছে। এবার হাওরে আমন ধানের আবাদ বেশি হয়েছে। হাওরে আগে শুধু বোরো ধান হতো। এখন পাম্পের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন করে সেখানে আমন ধানের আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে। 

এসপি