সেমিনারে বক্তব্য দিচ্ছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক

কৃষকদের ৫০-৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষি যন্ত্রপাতি দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেছেন, সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে কৃষিকে আধুনিকায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী উল্লেখ করেন, প্রান্তিক পর্যায়ে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ানো, পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি জনপ্রিয় করতে কৃষি সম্প্রসারণের অধীনে মাঠ পর্যায়ে কৃষি প্রকৌশলী নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া দেশে যন্ত্রের কারখানা স্থাপনে জাপানের ইয়ানমারের আশ্বাস মিলেছে।

বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে ‘বাংলাদেশে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব তথ্য তুলে ধরেন মন্ত্রী।

রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) কাউন্সিল হলে আইইবির কৃষি প্রকৌশল বিভাগ এ সেমিনারের আয়োজন করে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফার্ম মেশিনারি অ্যান্ড পোস্ট হারভেস্ট প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. আইয়ুব হোসেন।

কৃষি যান্ত্রিকীকরণে ও অ্যাগ্রো প্রসেসিংয়ে প্রকৌশলীদেরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যান্ত্রিকীকরণের সকল কম্পোনেন্ট নিয়ে কাজ করতে হবে। কৃষি প্রকৌশলীদের উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল হতে হবে।

কৃষিযন্ত্রপাতির বেশিরভাগ আসে বিদেশ থেকে, যার দামও অনেক বেশি উল্লেখ করে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা প্রান্তিক পর্যায়ে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে কম দামে এসব যন্ত্রপাতি সরবরাহের চেষ্টা চালাচ্ছি। স্থানীয়ভাবে যন্ত্রপাতি ও খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরিতে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা জাপানের ইয়ানমার কোম্পানি, ভারতের মাহিন্দ্রসহ অনেকের সঙ্গে আলোচনা করেছি।

‘তাদেরকে এ দেশে যন্ত্রপাতি তৈরির বা অ্যাসেম্বল কারখানা স্থাপনের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। স্থানীয়ভাবে যন্ত্রপাতি তৈরি করতে পারলে একদিকে যেমন যন্ত্রপাতির দাম কমবে, অন্যদিকে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।’

ইতোমধ্যে জাপানের ইয়ানমার এ দেশে অন্ততপক্ষে যন্ত্রপাতির অ্যাসেম্বল কারখানা স্থাপনের আশ্বাস দিয়েছে বলে যোগ করেন কৃষিমন্ত্রী।

সেমিনারে আইইবির কৃষি কৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মোয়াজ্জেম হুসেন ভূইয়া সভাপতিত্ব করেন। এ সময় আইইবির প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নূরুল হুদা, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিশক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক প্রকৌশলী মো. মঞ্জুরুল আলম, প্রকৌশলী শাহাদাৎ হোসেন শিবলু, প্রকৌশলী মিছবাহুজ্জামান চন্দন, প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম শেখসহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন।

একে/এফআর