কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক

যারা আগ্রহ নিয়ে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করবেন তাদের অবশ্যই কৃষি মন্ত্রণালয় পুরস্কৃত করবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ৩৮তম বিসিএস (কৃষি) ক্যাডারে নতুন যোগ দেওয়া কর্মকর্তাদের ওরিয়েন্টশন প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ অডিটরিয়ামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

কৃষি সব সময়ই একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, নতুন নতুন সমস্যা আসবে। সেসব সমস্যা মোকাবিলা ও কৃষির অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সবাইকে কর্মঠ ও নিষ্ঠাবান হয়ে কাজ করতে হবে। কঠোর পরিশ্রম, আন্তরিকতা ও নিবেদিতভাবে কাজ করে যেতে হবে। বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কার ও উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলোকে কৃষিতে ব্যবহারের দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষি হলো প্রকৃতি ও মৌসুম নির্ভর। এ কৃষিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালের পর থেকে একটা নতুন দিগন্ত দিয়েছিলেন। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করি। কিন্তু বিএনপি জোটের শাসনামলে সেটির ধারাবাহিকতা রক্ষা হয় নাই, বরং কৃষিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়।

তিনি জানান, ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে। সেদিনই নির্বাচনী ইশতেহারে জাতির কাছে আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম বাংলাদেশকে দানাজতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করবো, দারিদ্র্যতা কমিয়ে নিয়ে আসবো, এমডিজি গোল অর্জন করবো।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৩-১৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ দানাজাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠে। ২০১৫ সালে এমডিজির প্রায় সবগুলো লক্ষ্যমাত্রা  আমরা অর্জন করি এবং দারিদ্র্যতা ২১ ভাগে নামিয়ে আনি। এটা কোনো জাদুর কাঠিতে হয় নাই। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা, কৃষি ও কৃষকের প্রতি তার পরম দরদ ও আন্তরিকতার ফলে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. আসাদুল্লাহ্ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মো. বখতিয়ার। স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আবদুল মান্নান।

একে/এমএইচএস