জাতীয় বীজ বোর্ডের সভা /ছবি- সংগৃহীত

দেশের বীজ ডিলারদের সনদ নবায়নের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে পাঁচ বছর পরপর লাইসেন্স/সনদ নবায়ন করতে হবে। ফলে প্রতিবছর আর মন্ত্রণালয়ে এসে নবায়ন করার ঝামেলা পোহাতে হবে না।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও মহাপরিচালক (বীজ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় বীজ বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বলাই কৃষ্ণ হাজরা বলেন, ‘‌জাতীয় বীজ বিধি ২০২০’ এর এখতিয়ার বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে বীজ ডিলারদের সেবা সহজ করা হয়েছে। তাদের যেন প্রতিবছর ঢাকায় আর নবায়নের জন্যে আসতে না হয়।

সারাদেশের বীজ ডিলারদের শুধুমাত্র নবায়নের জন্যে ঢাকা আসাটা অনেক কষ্টকর উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্তের ফলে বীজ ডিলাররা পাঁচ বছরের জন্যে একবারে ফি দিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। আগে প্রতি বছর ২০০ টাকা করে ফি দিয়ে নবায়ন করতে হতো। এখন পাঁচ বছরের ফি একবারে দিতে হবে। ফি এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। হয়তো কিছুটা বাড়তে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

দেশে সব ধরনের ফসলের বীজ ডিলারের সংখ্যা প্রায় ৩৮ হাজার জানিয়ে বলাই কৃষ্ণ বলেন, বীজ ডিলারদের আমরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখি। বিষয়টা এমন নয় যে, নবায়নের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বলে তদারকি কমে আসবে। যেকোনও ধরনের ভুয়া বীজের মাধ্যমে কৃষকেরা প্রতারিত হলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেই। বড় ধরনের ঘটনা হলে মন্ত্রণালয় থেকে সরাসরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

সাধারণত দুই ধরনের বীজ ডিলাররা কৃষকের কাছে সরবরাহ করে থাকেন। প্রত্যায়িত ও মানসম্মত বীজ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা এ বিষয়গুলো সরাসরি দেখভাল করে থাকেন। কোনো ধরনের দুর্ঘটনা বা কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমরা প্রণোদনার আওতায় নিয়ে এসে ওই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে সহায়তা করি।

উল্লেখ্য, এ সভায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত জিঙ্কসমৃদ্ধ চিকন চালের জাত ‘ব্রি ধান ১০০’ ও বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত বিজেআরআই দেশী পাট-১০ নামের নতুন এ জাত অবমুক্ত করা হয়। নতুন এ দুই জাতই দেশের কৃষিতে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা মত দেন।

একে/ওএফ