মুজিববর্ষের শ্রেষ্ঠ কাজ হবে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ শিল্পকর্ম
বঙ্গবন্ধু শেখ মুবিজুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে শ্রেষ্ঠ কাজ হবে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ শিল্পকর্মটি। এমনটাই মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে কৃষি সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। সভাটির আয়োজন করে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু পরিষদ। এ সময় দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের কৃষি সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার বালিন্দা গ্রামে মোট ১২০ বিঘা জমির ওপর শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু শিল্পকর্মটি সম্পাদন করা হচ্ছে। যা গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে রেকর্ড হতে যাচ্ছে। মূল শিল্পকর্মের ক্যানভাস গড়ে উঠবে ১০০ বিঘা জমি জুড়ে।
শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও আহ্বায়ক বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ শিল্পকর্মটি যেনো ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড’ হয় সে লক্ষ্যেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখছি। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন কাজ চলমান রয়েছে। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ শিল্প কর্মের সব তথ্য গিনেস বুকে পাঠানো হবে।
আমরা বঙ্গবন্ধুকে সারাবিশ্বে তুলে ধরতে চাই উল্লেখ করে নাছিম বলেন, বঙ্গবন্ধু মাটি ও মানুষের নেতা। তৃণমূলের ও প্রান্তিক মানুষের কথা বলতেন বঙ্গবন্ধু। তার জন্মশত বর্ষে এ শিল্পকর্ম হবে শ্রেষ্ঠ কাজ।
গিনেস বুক রেকর্ডের বিষয়ে তিনি জানান, এত বড় আয়তন ও আয়োজনে শস্যচিত্রের কাজ এর আগে কখনো হয়নি। গত ২০১৯ সালে চীনে ৭৫ বিঘা জমিতে একটি শস্যচিত্র করা হয়েছে। যার আয়তন ছিল ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৬ বর্গফুট। আর বগুড়ার শেরপুরের বালিন্দার শস্যচিত্রের আয়তন ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট। জমির পরিমাণ ১২০ বিঘা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, শস্যের ক্যানভাসে জাতির পিতার মুখচ্ছবি ফুটিয়ে তুলতে দুই ধরনের ধানের চারা ব্যবহার হচ্ছে। এসব ধানের চারা চীন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বেগুনি ও সবুজ রঙের দুই ধরনের হাইব্রিড ধানের চারা রোপণ কাজ শেষ হয়েছে। ধান পাকার আগ পর্যন্ত নানা রূপ ধারণ করবে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ শিল্পকর্মটি। ১৪৫ দিনের মধ্যে এ ধান ঘরে ওঠবে। একটি সবুজাভ সোনালি আর অন্যটি বেগুনি রঙের। সে সঙ্গে রচিত হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি নিয়ে এক নতুন ইতিহাস।
‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ২ কোটি টাকা। সাড়ে ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে জমি লিজ নেওয়া হয়েছে। বিএনসিসির ১০০ জন সদস্য এবং ৫০ জন শ্রমিক-কর্মচারী এ কাজে নিয়োজিত আছেন বলেও তিনি জানান।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র চন্দস, বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আলতাব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর সাইদ শাহীন, বাংলাদেশ কৃষি রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আশরাফ আলী প্রমুখ।
একে/এমএইচএস